অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ(২০০+ শব্দের)
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনারা কি অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন। প্রায় গুগলে দেখা যায় অর্থই অনর্থের মূল এই কথাটি লিখে মানুষ
সার্চ করে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি অর্থই অনর্থের
মূল ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
অর্থই অনর্থের মূল
ভাব-সম্প্রসারণঃ অর্থ মানুষের সকল কর্মের চালিকাশক্তি হলেও এ অর্থই আবার
সবরকম অনর্থের সূত্রপাত করে। পৃথিবীর যাবতীয় সহিংস কর্মকাণ্ডের পেছনের কারণ
অর্থ।অর্থ-সম্পদ মানবজীবনের জন্যে অপরিহার্য হলেও এর যথাযথ ব্যবহার না হলে
ব্যক্তি ও সমাজজীবনে নেমে আসে অকল্যাণ। জীবন ধারণের জন্যে অর্থের প্রয়োজন
অপরিহার্য।
পার্থিব জীবনে অর্থ বা বিত্তই মানুষের একান্ত কামনা। অর্থ বা সম্পদের মোহে
মানুষ জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হয়। অর্থ মানুষের প্রয়োজন মেটায় বলে অর্থ ছাড়া জীবন
অর্থহীন বা মূল্যহীন বলে বিবেচিত হয়। তাই সারাজীবন মানুষ অর্থের পেছনে ছোটে।
বিপদে- আপদে, উৎসবে-আনন্দে, জনন্ম-মৃত্যুতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্থের
প্রয়োজন। কিন্তু অর্থ ও সম্পদ অনেক সময় সুখ ও কল্যাণের বদলে অকল্যাণ বয়ে আনে।
জগতে সকল অপকর্মের মূলে অর্থ।
আরো পড়ুনঃ পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাবসম্প্রসারণ
অর্থ লোভে নীতিবর্জিত হয়ে মানুষ অহরহ নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত হয়। অন্যায় পথে
অর্জিত অর্থ মানুষকে বিবেকহীন ও দাম্ভিক করে তোলে। অর্থের লালসা মানুষের নৈতিক
অধঃপতন ঘটায়। অর্থের লোভেই চরিত্রহীন হয়ে মানুষ সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়।
পৃথিবীর সকল দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও অশান্তির মূলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে
অর্থ। অর্থ-সম্পদের স্বার্থেই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধের উন্মাদনা জাগে,
শ্রমিকে-মালিকে বাধে মত-বিরোধ, ভাইয়ে-ভাইয়ে শুরু হয় চরম শত্রুতা।
অর্থের লোভেই মানুষ মানুষকে খুন করে। তাই জগতের সব অশান্তি ও অনর্থের মূলে
রয়েছে অর্থ।সুষ্ঠু সমাজজীবন ও স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করার জন্যে অর্থের
প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কিন্তু অর্থ যেন অনর্থের মূল না হয় তার দিকে লক্ষ
রাখতে হবে।
লিংক বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url