সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত ভাবসম্প্রসারণ(২০০+ শব্দের)

প্রিয় পাঠক ও শিক্ষার্থীবৃন্দরা আপনারা নিশ্চয়ই গুগলে সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত এই কথাটি লিখে সার্চ করে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন।সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ ও উক্তি। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত ভাবসম্প্রসারণ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আপনারা যদি সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে চান তাহলে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকুন।

সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত 

ভাব-সম্প্রসারণঃ শিক্ষার পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হতে হলে মানুষকে নিজস্ব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং সুশিক্ষিত হওয়ার জন্যে স্বশিক্ষা বা নিজে নিজে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানশক্তি অর্জন করা।শিক্ষা সম্পূর্ণভাবেই অর্জনসাপেক্ষ। শিক্ষালাভের জন্যে বিভিন্ন শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধাপে ধাপে এগিয়ে শিক্ষার্থীগণ সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করে এবং শিক্ষিত হিসেবে পরিচিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। নির্দিষ্ট ডিগ্রি প্রদানের মধ্যেই তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে জ্ঞানের পূর্ণতা আসে না। জ্ঞানকে আত্মস্থ করার জন্যে আত্মপ্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই। তাই যথেষ্ট জ্ঞান অনুশীলন ব্যতীত কেউ সুশিক্ষিত হতে পারে না। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁদের উচ্চতর ডিগ্রি আছে, কিন্তু দেশ ও জাতির কল্যাণে তারা কিছুই করতে পারেন নি। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চতর ডিগ্রি থাকলেও তাঁরা স্বশিক্ষায় সুশিক্ষিত না হওয়ায় তাদের মধ্যে কখনোই মুক্তচিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে নি, যা দিয়ে তাঁরা দেশ ও দশের উপকার করতে পারে।
পক্ষান্তরে, অনেক স্বশিক্ষিত ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়াও দেশ ও জাতি তথা বিশ্বমানবের কল্যাণের জন্যে অনেক কিছু করে গেছেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ- সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো, নিউটন, গ্যালিলিও, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম প্রমুখের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। তাঁরা স্ব-শিক্ষায় সুশিক্ষিত ছিলেন বলেই মরে ও অমর হয়ে আছেন। সুশিক্ষিত লোকের মন মুক্তবুদ্ধির আলোকে উদ্ভাসিত হয়, তিনি বিজ্ঞানমনষ্ক যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হন।

পরিশীলিত রুচিবোধে তিনি হন উদার ও বিনম্র। সব মিলিয়ে সুশিক্ষিত মানুষ নিঃসন্দেহে হন আলোকিত মানুষ।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে যথার্থ জ্ঞানার্জনের জন্যে জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে হয়। সুশিক্ষার জন্যে নিজের উদ্যোগের প্রয়োজন হয়। একমাত্র স্বশিক্ষার মাধ্যমেই সুশিক্ষিত হয়ে ওঠা সম্ভব। সেজন্যে সারা জীবন ধরে মানুষের জ্ঞানসাধনা চলে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লিংক বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url