কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই ভাবসম্প্রসারণ

শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনারা কি কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে জানতে চান বা পড়তে চান। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই ভাব সম্প্রসারণ
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই ভাব সম্প্রসারণ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।

কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই 

ভাব-সম্প্রসারণঃ নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালনের মধ্যেই জীবনের সফলতা নির্ভর করে। কেননা কর্তব্য পালন মানবজীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সকল সম্পর্ক ও স্বার্থের ওপরে কর্তব্যের স্থান হওয়া উচিত। কাজই জীবন, কাজের মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। পৃথিবী এক বিশাল কর্মক্ষেত্রে। এখানে কর্তব্যের কোন বিকল্প নেই। প্রত্যেক মানুষের থাকে বিশেষ পেশা। এখানেও রয়েছে তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্তব্য। তা ছাড়া মানুষের অনেক পারিবারিক ও সামাজিক কর্তব্যও রয়েছে। রয়েছে রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। 

এভাবে কর্তব্য দ্বারাই মানুষ আবেষ্টিত। আর এসব কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা। জীবনের প্রভাত বেলা থেকেই কর্তব্যবোধের অর্থ অনুধাবন করতে হয়; তাহলেই জীবন সংগ্রামে যথোচিত সম্মান ও মর্যাদার আসনে উপবিষ্ট হওয়া যায়। মহাপুরুষ মাত্রই কর্তব্যের কাছে নতি স্বীকার করেন নি; ফলে তাঁদের কর্তব্যের সফলতার পথে যেকোনো বাধাই আসুক না কেন তাঁরা অবলীলায় তা অতিক্রম করেন। 

এমনকি নিজের রক্তের সম্পর্ক ভাইও তাঁদের কর্তব্যের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। পৃথিবীতে কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিরূপে খ্যাত ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে তাঁরা আপন পর নির্বিশেষে কর্তব্য কাজে রত থাকতেন। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.) ইসলামের অমোঘ নিয়ম অনুযায়ী মদ্যপানের অপরাধে নিজের ছেলেকে দোরা মারার আদেশ দেন। কর্তব্যের কাছে তিনি নতি স্বীকার করেন নি। সারা জাহানের খলিফাও কর্তব্যের কাছে নিজের ছেলেকেও ছেড়ে দেন নি। তাই কর্তব্যের কাছে আপন পর নির্বিশেষে সবাই সমান। 

বিচারের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। দণ্ডিত ব্যক্তি যেই হোন না কেন আইনের নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুযায়ী বিচার করতে হবে। আপন ভেবে ছেড়ে দিলে কর্তব্য কাজ সম্পাদন হবে না। নিরপরাধী ব্যক্তিও যদি বিচারকের নিকট ঘৃণিত হয় তবুও কর্তব্যের খাতিরে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ভাই বন্ধুর স্বার্থ দেখতে গেলে তা আর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না, তা হয়ে যায় স্বার্থপরতা। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, কর্তব্যই সততা, কর্তব্যই ন্যায়পরায়ণতা, কর্তব্যই সার্থক জীবনের বৈশিষ্ট্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লিংক বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url