কীর্তিমানের মৃত্যু নাই ভাবসম্প্রসারণ(২০০+ শব্দের)

প্রিয় শিক্ষার্থীরা আজকের পোস্টটির মাধ্যমে কীর্তিমানের মৃত্যু নাই ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। আপনারা যারা কীর্তিমানের মৃত্যু নাই ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই
প্রিয় শিক্ষার্থী ভাবসম্প্রসারণ টি সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কীর্তিমানের মৃত্যু নাই

ভাব-সম্প্রসারণঃ যদিও মানুষ মরণশীল কিন্তু কর্মগুণে মানুষ অমরত্ব লাভ করতে পারে, বেঁচে থাকতে পারে মানুষের মনে অনন্তকাল ধরে। এই অমরত্ব লাভে কেবল মানুষের কর্মই ভূমিকা রাখতে পারে, বয়স এখানে মুখ্য নয়।সময় অনন্ত, জীবন সংক্ষিপ্ত। এ জীবনে মানুষ তার মহৎকর্মের মধ্য দিয়ে এ পৃথিবীতে স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকে। আবার নিন্দনীয় কর্মের ফলে এই জগতে সে বেঁচেও মরে থাকে। কেননা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তাকে ভালোবাসে না; সমাজ, দেশ ও জাতি তাকে শ্রদ্ধা করে না, স্মরণ করে না: তার মৃত্যুতে কারও যায় আসে না। 

মানুষ মাত্রই জন্ম-মৃত্যুর অধীন। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলে একদিন তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে- এটা চিরন্তন সত্য। আর মৃত্যুর মধ্য দিয়েই সে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয়। কিন্তু পেছনে পড়ে থাকে তার মহৎকর্মের ফসল যে-কর্মের জন্যে সে মরে যাওয়ার পরও পৃথিবীতে যুগ যুগ বেঁচে থাকে। মানুষের জীবনকে দীর্ঘ বয়সের সীমারেখা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। জীবনে কেউ যদি কোন ভাল কাজ না করে থাকে তবে সে জীবন অর্থহীন, নিষ্ফল। 

সেই নিষ্ফল জীবনের অধিকারী মানুষটিকে কেউ মনে রাখে না। নীরব জীবন নীরবেই ঝরে যায়। পক্ষান্তরে, যে মানুষ জীবনকে কর্মমুখর করে রাখে এবং যার কাজের মাধ্যমে জগৎ ও জীবনের উপকার সাধিত হয় তাকে বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সেই সার্থক মানুষের কাজের অবদান বিশ্বের বুকে প্রচারিত হতে থাকে। কীর্তিমান ব্যক্তির যেমন মৃত্যু নেই, তেমনি শেষও নেই, কারণ এ পৃথিবীতে সে নিজস্ব কীর্তির মহিমায় লাভ করে অমরত্ব। 

কীর্তিমানের মৃত্যু হলে তাঁর দেহের ধ্বংসসাধন হয় বটে কিন্তু তাঁকে স্মরণ করে। তাই সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা কর্ম-সাফল্যের ওপর নির্ভরশীল। মানুষের দেহ নশ্বর কিন্তু কীর্তি অবিনশ্বর। কেউ যদি মানুষের নিজেকে নিবেদিত করে, তবে মৃত্যুর পরেও তাঁর এ কীর্তির মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরকাল বেঁচে থাকে।

মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে তার মহৎ কীর্তির মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়। তাই বয়সের দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই যদি তা কর্মহীন বা গুণহীন হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লিংক বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url