মোবাইল ফোন রুট করার নিয়ম - রুট করার সফটওয়্যার

প্রিয় পাঠক আপনারা কি রুট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যদি জানতে চান তাহলে আজকে পোস্টটিতে আমরা রুট সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি মোবাইল ফোন রুট করার নিয়ম - রুট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চান আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।
মোবাইল ফোন রুট করার নিয়ম - রুট করার সফটওয়্যার
আজকে পোস্টটিতে আমরা রুট করার নিয়ম এবং রুট করার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত থাকুন।

রুট করার সফটওয়্যার

বর্তমানে রুট করার অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করে রুট এক্সেস নিতে পারবেন এবং রুট করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই কয়েকটি রুট অ্যাপের নাম।
  • KingoRoot
  • SuperSU
  • FamaRoot 

মোবাইল ফোন রুট করার নিয়ম - রুট করার সফটওয়্যার

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন রুট করার উপায় রয়েছে যা আমরা এখন জানতে পারবো। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন রুট করার উপায় জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক কিভাবে মোবাইল ফোন রুট করব।

আপনি শুরু করার আগে, আপনার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা একটি নিরাপদ স্থানে ব্যাক আপ করে নিবেন, কারণ রুট করার প্রক্রিয়াটি সম্ভাব্যভাবে আপনার ডেটা মুছে ফেলতে পারে।এরপর আপনাকে আপনার ফোনে সেটিংসে যেতে হবে। সেখান থেকে Developer অপশনটি অন করতে হবে। অন করার জন্য ফোনের বিল্ড ভার্সনে চার থেকে পাঁচ বার ক্লিক করতে থাকুন ফলে আপনার ডিভাইসে ডেভলপার অন হয়ে যাবে।

এরপর Developer অপশনের ভেতরে আপনাকে USB ডিবাগিং অপশনটি অন করতে হবে। এবার একটি রুট এপ্স ইন্সটল করতে হবে। বর্তমানে জনপ্রিয় রুট অ্যাপস গুলোর মধ্যে রয়েছে KingoRoot, Magisk এবং SuperSU। উক্ত এপ্স গুলো আপনি আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড করবেন এবং ইন্সটল করুন। এবার ইউএসবি ক্যাবল ব্যবহার করে আপনার ফোনটি কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করুন।

আপনার ফোনটি কম্পিউটার সাথে কানেক্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাইভার প্রয়োজন হবে যা আপনি আপনার ডিভাইসের কনফিগারেশন লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন।এবার কম্পিউটারে রুট অ্যাপ গুলো ওপেন করেন এবং স্ক্রিনে প্রদর্শিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করে রুট করুন।এটি সাধারণত একটি সিরিজ বোতাম টিপে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, আপনার ডিভাইসটি পুনরায় বুট করুন। ফলে ডিভাইস রুট হয়ে যাবে। তাহলে আপনারা জানতে পারলেন রুট করার প্রথম পদ্ধতি। এখন আমরা জানবো রুট করার দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে কঠিন পদ্ধতি সম্পর্কে।

ফোন রুট করার দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ

অনেক ডিভাইস রুট করার আগে আপনাকে ডিভাইসের বুটলোডার আনলক করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন নির্মাতা এবং মডেলের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। বুটলোডার আনলক করার জন্য আপনাকে আপনার ডিভাইসে রিকভারি ইন্সটল করতে হবে। এমন জনপ্রিয় রিকভারীগুলো হলো TWRP এবং ClockworkMod।এগুলো 

সাধারণত XDA ফোরামে আপনার নির্দিষ্ট ডিভাইসের জন্য বিস্তারিত নির্দেশাবলী খুঁজে পেতে পারেন। এরপর আপনাকে একটি রুটিং প্যাকেজ ডাউনলোড করতে হবে। এবার ফোনের রিকভারি মোডে যেতে হবে,এটি সাধারণত ডিভাইসটি বন্ধ করে। রিকভারি মোড থেকে ইন্সটলে আপনার ডাউনলোডকৃত রুট প্যাকেজ সিলেক্ট করতে হবে।

রুটিং প্যাকেজ জিপ ফাইলে নেভিগেট করুন।ফ্ল্যাশ নিশ্চিত করতে সোয়াইপ করুন।এটি rooting প্রক্রিয়া শুরু করবে।আপনার ডিভাইস রিবুট করুন।প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, আপনার ডিভাইসটি পুনরায় বুট করুন।মনে রাখবেন, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের আপনার সঠিক মেক এবং মডেলের জন্য সর্বদা নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং রুট করার সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আপনি যদি অনিশ্চিত হন তবে একজন জ্ঞানী সম্প্রদায় বা পেশাদারের সহায়তা নিন।

Note:

আজকে পোস্টে আমি আপনাদের কিছু নরমাল ভাবে ব্যবহার করা rooting apps এর সম্পর্কে বলেছি যা ব্যবহার করে যে কেউ নিজের এন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করতে পারবেন। কিন্তু, যদি রুট করার পর বা রুট করার সময় আপনার মোবাইলের কোনোরকম ক্ষতি সাধন হয়, তাহলে তার জন্য দ্বায়ী আমি বা আমার ব্লগ (linkbangla.com) না। তাই রুট করার আগে অবশ্যই ভেবে নিবেন এবং পেশাদার এক্সপার্ট এর কাছে সাহায্য নিবেন।

শেষ কথা

আশা করছি আপনারা মোবাইল ফোন রুট করার নিয়ম জানতে পেরেছেন। তবে রুট করার আগে অবশ্যই জেনে নেবেন রুট করলে কি ক্ষতি হয় আর কি ভালো হয়। রুট করার সময় অবশ্যই আগে পেশাদার এর কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন এবং চেষ্টা করবেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লিংক বাংলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url